শিক্ষক নিয়োগের খসড়া নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠার অনুকূল নয়!
বিশ্বাস করা হচ্ছে এবং করানো হচ্ছে, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ‘মানহানি’, অর্থাৎ মানের অবনতি ঘটেছে। আমলা-কাজী-সিপাহসালার – সমাজের আর কোনো পক্ষের মানহানি হয়নি, হয়েছে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের। বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষকদের মান নির্ধারণ এবং মানের অবনতি রোধ করার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কর্তাব্যক্তিরা এই নীতিমালার ব্যাপারে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের তিনটি নিয়ামক থাকবে : ১. প্রাথমিক-উচ্চমাধ্যমিক-স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল, ২. নিয়োগ-পরীক্ষা পাশ এবং ৩. পাঠদানের ক্ষমতা।
শিক্ষার তৃতীয় স্তর কিংবা উচ্চশিক্ষার সঙ্গে প্রথম দুই স্তর অর্থাৎ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক (উচ্চমাধ্যমিকও যার অন্তর্ভূক্ত) শিক্ষার মূল পার্থক্য হচ্ছে, উচ্চশিক্ষা যারা দেবেন এবং নেবেন, তাদের যথাক্রমে গবেষণা করতে হবে এবং গবেষণা করা শিখতে হবে। ঐতিহাসিকভাবে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ নামক প্রতিষ্ঠানটির উপর গবেষণা করা ও গবেষণা শেখানোর দায়িত্ব বর্তায়। গবেষণা যদি আপনি না করেন, তবে অতি সাম্প্রতিককালে জ্ঞানের জগতে কী পরিবর্তন হলো সেটা আপনি জানতে পারবেন না, শিক্ষার্থীদের জানাতে পারবেন না এবং এর ফলশ্রুতিতে সমাজেও জ্ঞানের অগ্রগতির সর্বশেষ সংবাদ অজানা থেকে যাবে। ব্রাহ্মণের যজন-যাজন-অধ্যাপনের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষকের তিনটি কাজ: ১. নিজে গবেষণা করা, ২. অন্যকে গবেষণায় সহায়তা করা এবং ৩. পাঠদান করা। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শুধু পাঠদান করলেই চলে। একজন কলেজ-শিক্ষকের সঙ্গে একজন বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষকের পার্থক্যটা এখানেই। আমি প্রথম দুই স্তরের শিক্ষকদের কোনোভাবেই ছোট করছি না, আমি শুধু বলতে চাই যে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের দায়িত্ব শুধু পাঠদানে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় কী ধরনের প্রতিষ্ঠান হওয়া উচিত – সে সম্পর্কে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও স্পষ্ট ধারণা আছে বলে মনে হয় না। এর কারণ, এখন যাঁরা নীতিনির্ধারক কিংবা প্রবীণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক তাঁদের শিক্ষকেরাও খুব বেশি গবেষণামুখী ছিলেন না এবং এর ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদেরও তাঁরা গবেষণামুখী করে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমাদের আগের প্রজন্মের বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষকেরা আচরণে-মানসিকতায় নেহায়েতই একেকজন কলেজ-শিক্ষক ছিলেন এবং তাঁদের শিক্ষার্থীরাও ছাত্রজীবনে কলেজ-শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবনে কলেজ-শিক্ষকে পরিণত হয়েছেন। ফরাসি দার্শনিক মোঁতেস্কিও লিখেছিলেন: ‘অবনতি কখনও নতুন প্রজন্মের হয় না। নতুন প্রজন্ম নষ্ট হয়, কারণ পুরনো প্রজন্ম আগে থেকেই নষ্ট ছিল।’ চট্টগ্রামী বাংলায় প্রবাদ আছে: ‘আগের হাল যেদিকে যায়, পিছের হালও সেই দিকেই যায়।’
শিক্ষকতা, কারিকুলাম, পাঠ্যক্রম, পাঠদান থেকে শুরু করে আমাদের প্রজন্মের বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষকদের যাবতীয় আচরণ ও কর্মকাণ্ডে কলেজ-শিক্ষকের মানসিকতা প্রতিফলিত হয়। মাস্টার্স পর্যায়েও এরা সেমিনারের কথা ভাবতে পারেন না, কোর্স দিতে চান। পরীক্ষা ছাড়াও যে অর্জিত জ্ঞান যাচাইয়ের অন্য পন্থা থাকতে পারে – হাজার চেষ্টা করেও এ ব্যাপারটা বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষককে আপনি বোঝাতে পারবেন না। এর পিছনে অর্থনৈতিক কারণও আছে বৈকি। পরীক্ষা মানেই ইনভিজিলেশন, খাতা দেখা, নম্বর তোলা ইত্যাদি হাজার রকম আয়ের সুবর্ণ সুযোগ নাদান শিক্ষকেরা কেন হেলায় নষ্ট করতে যাবেন?
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনও ছাত্রদের নাম ডেকে উপস্থিতির হিসাব নেয়া হয়, অনেকটা জেলখানার কয়েদিদের মতো। উপস্থিতির জন্য তাদেরকে নম্বরও দেয়া হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা কি সাবালক নন? তারা কি জানেন না যে ক্লাসে তাদের উপস্থিত থাকতে হবে? কবে তাদের শৈশব ঘুচবে? এক একটি ক্লাসে শ খানেক ছাত্রের নাম ডাকতেইতো কুড়ি মিনিট চলে যাবার কথা। ক্লাসের সময়সীমা যদি পঞ্চাশ মিনিট হয়, তবে শিক্ষক মহোদয় পড়াবেন কখন? প্যারিস, মন্ট্রিয়ল, টোকিও – যেখানে আমি উচ্চশিক্ষা নিয়েছি, সেখানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষককে কখনও ছাত্রদের নাম ডাকতে কিংবা উপস্থিতির হিসাব রাখতে দেখিনি।
কোনো ব্যক্তির গবেষণা করার ক্ষমতা তার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে অর্জিত ভালো ফলাফলের উপর নির্ভর করে না। ভালো ছাত্র মাত্রেই ভালো গবেষক নন। কে ভালো গবেষক হবেন আর কে হবেন না, সেটা শুধু সময়ই বলতে পারে। নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ভালো আমলা নির্বাচন করা যেতে পারে, কিন্তু ভালো গবেষক তথা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নির্বাচন করা কার্যত অসম্ভব। কীভাবে সেটা করতে হবে, সেটা পাশ্চাত্যের কাছ থেকে আমাদের শিখতে হবে, কারণ অন্য অনেক কিছুর মতো ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ নামক প্রতিষ্ঠানটাও আমরা পাশ্চাত্যের কাছ থেকে পেয়েছি।
পাশ্চাত্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করতে হয় না। প্রাথমিক থেকে শুরু করে স্নাতক পর্যায়ের পরীক্ষায় কার, কী ফলাফল ছিল, সেটাও বিবেচনায় নেওয়া হয় না। এসব ফলাফল কলেজ কিংবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সময় বিবেচ্য হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একমাত্র বিবেচ্য, মুখ্যত গবেষণার ক্ষমতা এবং গৌণত পাঠদানের ক্ষমতা। দীর্ঘ দিন ধরে এই দুই ক্ষমতা প্রমাণ করার পর পাশ্চাত্যে একজন ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারেন।
পাশ্চাত্যে পি. এইচ. ডি. করতে করতেই একজন ছাত্র নিজ বিষয়ের বিখ্যাত সব জার্নালে তার গবেষণা-কর্ম প্রকাশ করার চেষ্টা করে। একই সাথে সে স্নাতক পর্যায়ে খণ্ডকালীন ভিত্তিতে পড়াতেও শুরু করে। পাঠ দিতে দিতে সে পড়াতে শিখে এবং জেনে যায় পড়ানোর কাজটা আদৌ সে পারবে কিনা। শিক্ষার্থীরাও শিক্ষানবীশ শিক্ষককে মূল্যায়ন করে এবং শিক্ষানবীশ যখন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদের জন্যে আবেদন করে, তখন শিক্ষার্থীদের এই মূল্যায়ন বিবেচনায় নেওয়া হয়। পি.এইড.ডি. অভিসন্ধর্ভ কিংবা প্রকাশিত গবেষণাকর্মের মান এবং পাঠদানের ক্ষমতা – এই দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিজ্ঞ নির্বাচকগণ সিদ্ধান্ত নেন, কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে কিনা। কয়েক বছর অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিয়োগ স্থায়ী হয়। নিয়োগ স্থায়ী হওয়া এবং পদোন্নতি পাওয়া নির্ভর করে প্রধানত শিক্ষকের কয়টি প্রবন্ধ স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হলো, তার উপর।
পদ না থাকলে পাশ্চাত্যের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বেতন বাড়ে, কিন্তু পদোন্নতি হয় না। বাংলাদেশে ‘রিস্ট্রাকচারিং’ নামক অদ্ভূত এক ব্যবস্থায় আমলাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রভাষকদের পদোন্নতি দিয়ে ধাপে ধাপে অধ্যাপক করা হয় বটে, কিন্তু সেই অধ্যাপক অবসরে গেলে দেখা যায়, খালি হয়েছে প্রভাষকের পদটি, অর্থাৎ পদটি প্রকৃতপক্ষে প্রভাষকেরই ছিল। এ অনেকটা টয়োটা গাড়ির উপর ‘মার্সেডিস’ তকমা লাগানোর মতো। পদোন্নতির জন্যে বিদেশের মতো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রকাশনা কিংবা গবেষণা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকের গবেষণা কিংবা জার্নালের সম্পাদনার মান নিয়ে শিক্ষকেরা নিজেরাই সন্দিহান।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, মঞ্জুরি কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্য এবং সাম্প্রতিক খসড়া নীতিমালা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগের মধ্যে পার্থক্য করতে আমরা সক্ষম নই। নিয়োগ-পরীক্ষা ও ফলাফলের উপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষক নিয়োগ-প্রাপ্ত হবেন, তাদের যোগ্যতা কলেজ বা স্কুলশিক্ষকের চেয়ে বেশি হবে না। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ধরন যদি একই হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কলেজ-মানের শিক্ষক নিয়োগ হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রকারান্তরে কলেজে পরিণত হবে। কার্যত বাংলাদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই – প্রাইভেট-পাবলিক নির্বিশেষে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রকৃতপক্ষে এক একটি বড়সড় কলেজমাত্র। পরিতাপের বিষয় এই যে, ভবিষ্যতেও যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে গড়ে উঠবে, তারও কোনো আলামৎ দেখা যাচ্ছে না উপরোক্ত নীতিমালায়। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যারা ভাবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত যাঁরা নেন, তাঁরা হয়তো জানেনই না ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ কাকে বলে। ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস : আদিপর্ব’ শীর্ষক পুস্তকটি পড়ে এঁরা নিঃসন্দেহে উপকৃত হতে পারেন।
“বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস : আদিপর্ব ” পাঠ করার পরও তাদের চিন্তাভাবনাতে কতটুকুপরিবর্তনআসবে সে বিষয়ে সন্দিহা। কারন আমরা বাংলাদেশীরা হচ্ছি “বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার” স্বভাবের ।
NSTU authority has recently started taking written exams of the aspirants. Started to practise what was simply a suggestion by the UGC. Some of the faculty members who are currently in temporary posts need to apply again for permanent teaching posts. Though these faculty members didn’t appear for any written exam during their first appointment. The question is what will happen if some of these temporarily appointment faculty members fail the written test. Does it prove that the earlier recruitment process was, perhaps, faulty; or the selection board was incompetent; or the teacher’s performance deteriorated due to his year/months-long engagement with NSTU; or something illegal took place during the process. Questions may, of course, be raised about the question papers? We are so compliant with people’s wish who are in authority that no one logically press against illogical activities.
You are verily right sir.
স্যার আমি মাস্টার্সে অধ্যয়নরত একজন ছাত্র। আমি আমার ভার্সিটি লাইফে যতজন শিক্ষক পেয়েছি খুব কম সংখ্যক শিক্ষক কে ভাল লেগেছে।
স্যার যারা মানুষ গড়ার কারিগর তাদের বেশির ভাগ ই মানুষিকতা, চিন্তা চেতনায় যদি অনেক পিছিয়ে থাকে, তাহলে আমাদের মত তরুন-প্রজন্মের মেধা ও মননের বিকাশের পথে তাদের কে অন্তরায় বলা যেতেই পারে।
অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যখন আমরা হাহাকার ছাড়া কিছু পাই না, তখন সত্যিই মনে অনেক প্রশ্ন জাগে।
খুব ভাল লিখছেন স্যার।
ধন্যবাদ নয় স্যার, আপনাকে স্যালুট ❤
ভাই রে, আপনি চশমার গল্প করছেন, কানাদের বাজারে।
Excellent sir!
Hi there! This post could not be written any better!
Reading this post reminds me of my old room mate!
He always kept talking about this. I will forward this page to him.
Fairly certain he will have a good read. Thanks for sharing!
Propecia
Predisone
Paxil For Sale
Plaquenil
https://buyplaquenilcv.com/ – Plaquenil
furosemide other names
cialis online
Cialis
viagra symbol
viagra 26 anos
Cooper Viagra
Cialis Arzt
Buy Colchicine Tablets Online
Costo Viagra Scatola buy cialis online safely
Xenical Achat
zithromax susp
buy cialis with paypal
Best Deals.On Viagra kamagra gi Generique Levitra Prix Discount
If some one needs expert view on the topic of blogging and site-building then i suggest him/her to pay a visit this webpage, Keep
up the nice job.
Viagra Rezeptfrei Prednisone
hydroxychloroquine sulfate for sale Weptuy Propecia Vente Libre
I have a testimony to share, My Name is Mrs Juliet am from the United State Of America am now 54years old Am a Medical doctor in California, I married for about 24years ago without any child then me and my husband go for an adoption of 2kids male female propecia erectile dysfunction The top seeded Williams made quick work of world No
Although caution needs to be taken, the use of therapeutic heat in burn patients can provide an effective method of increasing burn scar extensibility best gas station viagra Finally, the cancer cells extravasate from the circulation and enter the new site where they form pre angiogenic micrometastases Chambers et al
NSABP P 1 Trial All Adverse Events of Women Kessar N 6681 PLACEBO N 6707 Self Reported Symptoms N 6441 1 N 6469 1 Hot Flashes 80 68 Vaginal Discharges 55 35 Vaginal Bleeding 23 22 Laboratory Abnormalities N 6520 2 N 6535 2 Platelets decreased 0 levitra 10mg orodispersible bayer